Header Ads Widget

ঈদ মোবারক

কলকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা। আগামী ১৭ তারিখ রোজ সোমবার বাংলাদেশে ঈদুল আযহা পালিত হবে। 

এখন জ্বিলহজ্জ মাস চলছে। এই মাসের বিশেষ একটি জরুরি আমলের কথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সেটি হলো তাকবিরে তাশরিক।



তাশরিকের দিনগুলোতে যে তাকবির পড়ে তাকে তাকবিরে তাশরিক বলে। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ হতে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্তের সময়কে তাশরিকের দিন ধরা হয়। এই ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর কোনো কথা বা সুন্নত নামাজ না পড়ে একবার করে তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব।


জামাতে নামাজ পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকিম বা মুসাফির সকলের ওপর এটি ওয়াজিব।


তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে, 


الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد“


আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ্”


তাকবিরে তাশরিক সংক্রান্ত কিছু মাসায়েল

 

ক. প্রত্যেক মুসল্লির জন্য জিলহজের ৯ তারিখের ফজর হতে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজ আদায় করে সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে উচ্চস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব।

(আদ্দুররুল মুখতার ৩/১৭৭-১৭৮)

 


খ. নারীরা এই তাকবিরে তাশরিকটি নিচু স্বরে আদায় করবেন। উচ্চস্বরে নয়। (হাশিয়া তাহতাবী ১/৩৫৭)

 


গ. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে মুক্তাদিরা ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরা তাকবির বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)

 


ঘ. প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালামের পর পরই কোনো কথাবার্তা বা নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২/১৮০)

 


ঙ. কোনো সময় সবাই বা কেউ কেউ তাকবির বলতে ভুলে গিয়ে মসজিদ থেকে বের না হয়ে গেলে তাকবির আদায় করে নিতে হবে। আর যদি মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাজা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গোনাহগার হবে। (মাবসুত সারাখসী ২/৪৫)


চ. আইয়ামে তাশরিকের কোনো নামাজ কাজা হয়ে গেলে ওই দিনগুলোর মধ্যে তার কাজা আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব। কিন্তু এই কাজা পরবর্তী অন্য সময় আদায় করলে বা আইয়ামে তাশরিকের আগের কাজা নামায ওই দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৬৪)

 


ছ. কোনো ব্যক্তি নামাজে মাসবুক হলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে নিজের নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলতে হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)


আল্লাহ্ পাক সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন।

Post a Comment

0 Comments